আশপাশের মানুষেরা ভালো কিনা জানার আগে,
নিজের মনের ভেতর পাপ আছে কিনা, নিজে ভাল কিনা, সেটা আগে নিজেরাই জেনে নাও। এই ভাবেই যদি আমরা নিজেদের সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারি, তবে একটা সুন্দর সমাজ পাবো।
সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল শিক্ষা
শিক্ষাই শক্তি, জ্ঞানই আলো, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড”
‘শিক্ষা হল সভ্যতার রূপায়ন
শিক্ষা আর অভিজ্ঞতার সমন্বয়েই জীবনে পরিপূর্ণতা আসে।
প্রিয় শিক্ষার্থী, সম্মানিত অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ী,
আসসালামু আলাইকুম,
পৃথিবীতে সব কিছুর বিকল্প থাকলেও শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষাই আলো, যা একজন মানুষের মাঝে অন্ধকারকে নিমিষেই দূর করে দেয়। তাই, একজন মানুষকে প্রকৃতভাবে মানুষের মত বেঁচে থাকতে হলে সত্যিকারের শিক্ষা দরকার। সত্যিকারের শিক্ষা শুধুমাত্র ডিগ্রি অর্জনের মধ্যেই নিহিত থাকে না বরং বাস্তব জীবনেও তা কাজে আসে। তাই শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হল ব্যক্তিকে আলোকিত করা এবং ব্যক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। শিক্ষা যেমন একটি শিশুর সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করে তেমনি একজন ব্যক্তির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়েও সাহায্য করে। একইসাথে, শিক্ষা মানবিক উন্নয়নের জন্য অনুঘটক হিসেবেও কাজ করে।
বর্তমান যুগ হল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে তথ্য প্রযুক্তি দ্রুত প্রসার লাভ করেছে এবং সাধারণ মানুষ তা ব্যবহার করছে। আধুনিক এই যুগে প্রযুক্তি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা এর উপযোগিতা অবহেলা করতে পারি না। আধুনিক যুগের সাথে তাল মেলানোর জন্য আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তিগত, আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক, অসম্প্রদায়িক জাতিগঠন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। “ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়” তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যাচ্ছে যেখানে প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের সন্নিকটে তিতাস নদী দ্বারা বিভক্ত ছলিমাবাদ গ্রাম। শিক্ষায় অনগ্রসর জনপদ ছলিমাবাদ, সাতবিলাসহ আশপাশের গ্রামগুলো। এই চিন্তা মাথায় রেখে ছলিমাবাদ গ্রামের এক কৃতি সন্তান মোঃ কালু মিয়া (মেম্বার), যিনি নিজে লেখাপড়া না জানলেও লেখাপড়া মনে লালন করতেন। তিনি ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ ওয়ার্ড মেম্বার। তিনি ছলিমাবাদ, সাতবিলা ও সাহেবনগর গ্রামের সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় নিজের ৫৫ শতক জমিতে প্রতিষ্ঠা করেন ” ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। ” বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সনে প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলেন। কিন্তু একসময় টাকা পয়সার অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হবার উপক্রম হয়। তখন স্থানীয় চেয়ারম্যান এর পরামর্শে মিরপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, দানবীর ও শিক্ষানুরাগী ডঃ রওশন আলম এগিয়ে আসেন। তিনি নিজস্ব তহবিল থেকে শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন প্রদান করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেন। একইসাথে বিদ্যালয়ের জন্য নিজের টাকায় আরও ৭৯ শতক জমি কিনে দেন। এরপর জাতীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম (অবঃ) ২০১০ সনে নিম্মমাধ্যমিক ও ২০২০ সনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এমপিও ভূক্ত করার ব্যাবস্থা করেন এবং তিনি দুটি চারতলা অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করার ব্যাবস্থা করেন। এই বিদ্যালয়ে ২০১৯ সনে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয় এম পি মহোদয়ের সুপারিশে। ২০১৩ সনে প্রথম ব্যাচ হিসেবে এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৫ জন শিক্ষার্থী এবং ৩৫ জনই পাশ করে অর্থাৎ শতভাগ পাশ করে এলাকায় চমক সৃষ্টি করে। সেই থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে এলাকার সর্বস্তরের সচেতন লোকের সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করছি এবং একইসঙ্গে বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
মোঃ হুমায়ুন কবীর
প্রধান শিক্ষক